কৃমি
শিশুদের দেহে বহুপ্রকারের কৃমির উৎপাত দেখা যায়। কুঁচো কৃমি, সুতোর মতো সরু কৃমি, আলপিনের মতো কৃমি প্রভৃতি কৃমি দেখা যায়। রাতে স্ত্রী কৃমিরা মলদ্বার দিয়ে নেমে আসে ও মলদ্বারের চারপাশের চামড়ায় প্রচুর পরিমাণে ডিম পাড়ে। ডিম মলদ্বার থেকে পরনের প্যান্ট, বিছানার চাদরে পড়তে পারে এবং খুব হালকা বলে সেখান থেকে বাতাসেও ঘুরে বেড়াতে পারে। বিশেষ করে আঙুলের নখ একদম বড়ো রাখা উচিত নয়। কারণ নখের মধ্যে ময়লা মাটির সঙ্গেও যেমন কৃমি ঢুকতে পারে, তেমনি নখের মধ্যে বাসাবাঁধা কৃমির ডিম খাবারের সঙ্গে পেটের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। খাদ্যনালীতে এদের অবস্থান। মাঠের শাকসবজির মাধ্যমেও কৃমি সংক্রামিত হয়। একটা পরিবারে একজনের কৃমি হলে ওই পরিবারের সকলের কৃমি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাই কৃমির ঔষধ শিশুদের সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের সকলকে খাওয়ানোটাই বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি। কৃমি যদি পেটের মধ্যে থাকে, তবে শিশুর অপুষ্টি রোগ দেখা দিতে পারে । শিশু যা খায় তা ওই কৃমিদের পুষ্টি জোগাতেই খরচ হয়ে যায়। শিশুর পুষ্টি ব্যাহত হয়, শিশুর রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া রোগ দেখা দেয়। শিশুটির দেহ ফ্যাকাশে দেখায়, তার জিভ আর আগের মতো লাল থাকে না, মাথা ঘোরায়, ক্লান্তি, কাজকর্ম করতে পারে না, খিদে না হওয়া, হাত-পা ফুলে যায় ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয় ৷
কী করতে হবে –
১। সার্বিক স্বাস্থ্যবিধান পালন করা ।
২। নিয়মিত কৃমির ঔষধ সেবন