Answer:
উত্তরঃ সওয়াবের নিয়ত করে যে ইবাদত করা হয়; অথচ তার পক্ষে শরীয়তে দলীল পাওয়া যায় না, তাকেই বিদআত বলে ।
বিদ'আত হল ঐ কাজ যা আল্লাহ্-র রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাল করতে বলেননি এবং রাসূলুল্লাহ্ তাঁর জীবদ্দশায় কিংবা সাহাবী (রাযিঃ)-গণ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মৃত্যুর পরেও 'আমাল করেননি, অথচ বর্তমানে দ্বীনি কাজ বলে সমাজে চালু হয়েছে। সহীহ্ 'আমাল তাড়িয়ে দিয়ে বিদ'আতী কাজ এমনভাবে জেঁকে বসেছে যে, আসল 'আমালকে তখন খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। বলা হয়ে থাকে, বিদ'আত হল শিরকের জন্মদাতা বা উদ্ভাবক । কোন কোন শির্ক অতি সহজে চিহ্নিত করা গেলেও বিদ'আতকে ততো সহজে দ্বীন থেকে পৃথক করা সম্ভব হয় না। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বিদ'আতকারী বিদ'আতী কাজকে সহীহ্ মনে করে ‘আমাল করতে থাকায় তার তাওবাহ করার নাসীব হয় না। এর ফলে, তার ভাগ্যে ঘটবে কঠিন পাপের শাস্তি । তাই প্রতিটি মুসলিমকে কোন ‘আমাল করার পূর্বে নিশ্চিত হতে হবে যে, ঐ কাজ আল্লাহ্, তাঁর রাসূল কিংবা তার সাহাবীদের দ্বারা নির্দেশিত অথবা পালিত হয়েছে কি না। কেননা, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবদ্দশায় দ্বীন পূর্ণতা লাভ করেছে। তাই তার মৃত্যুর পর দ্বীনের মধ্যে নতুন কোন সংযোজনের অবকাশ নেই। আল্লাহ্ তা'আলা বলেন :
অর্থাৎ- আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করে দিলাম, আর আমার নি‘আমাতসমূহকেও পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসাবে মনোনিত করে রাযী হয়ে গেলাম।
-সূরা : আল-মায়িদাহ্, আয়াত : ৩
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
অর্থাৎ- দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু সংযোজনের ব্যাপারে তোমরা সাবধান! কারণ, প্রতিটি নতুন সংযোজনই বিদ'আত। আর প্রতিটি বিদ'আতই গোমরাহী এবং প্রতিটি গোমরাহীর ঠিকানা জাহান্নাম ।
-মিশকাত, তাহক্বীক্বঃ আলবানী (হাঃ ১৬৫), তিরমিযী (হাঃ ২৬৭৬), হাসান সহীহ
এ হাদীস থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে গেল যে, বিদ'আতে হাসানাহ্ কিংবা বিদ'আতে সাইয়িয়্যাহ্ বলে বিদ'আতকে ভাগ করার কোন সুযোগ নেই । আর না আছে বড় বিদ'আত কিংবা ছোট বিদ'আত বলে পৃথক করার সুযোগ। এ ব্যাপারে মনগড়া কথা বলা থেকে আমাদের সাবধান থাকা উচিত ।
আল্লাহ্ রাব্বুল 'আলামীন বলেন :
অর্থাৎ- সেই ব্যক্তি অপেক্ষা অধিক গোমরাহ্ আর কে হতে পারে যে আল্লাহ্ তা'আলার পক্ষ হতে কোন দলীল ব্যতীত স্বীয় নাফসের অনুসরণ করে চলে।
-সূরা: আল-ক্বাসাস, আয়াত : ৫০