হিজরত সম্পর্কিত বাংলা কুইজ

মুসআব ইবনে উমায়র

তিন রাত

আমের ইবনে ফুহায়রা এবং আব্দুল্লাহ ইবনে উরাইকিত

বনী সালেম গোত্রের মহল্লার মসজিদে

৪ দিন

আবু আইয়ুব আনসারী রা.

নওরোয ও মিহিরজান দিবস

রাসূলুল্লাহ (সা) উটনী পৃষ্ঠ থেকে নেমে আসেন। আবূ আয়ূব আনসারী (খালিদ ইবন যায়দ আন-নাজ্জারী আল-খাযরাজী) তক্ষুণি তাঁর সামানপত্র নামিয়ে বাসায় যান । রাসূলুল্লাহ (সা) এখানেই অবস্থান গ্রহণ করেন । আবূ আয়ূব আনসারী (রা) হুযূর আকরাম (সা)-এর মেহমানদারী, সেবা-যত্ন ও ভক্তি-সম্মান প্রদর্শনে কোন ত্রুটিই রাখেননি । রাসূলুল্লাহ (সা) আবূ আয়ূব আনসারী (রা)-র দ্বিতল গৃহের নীচতলায় অবস্থান গ্রহণ করেন। কিন্তু এতে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর প্রতি অবমাননা হবে বিধায় তিনি তার নিজের ব্যবহৃত দ্বিতল রাসূল (সা)-এর জন্য ছেড়ে দিতে ইচ্ছে করেন । তিনি নীচ নেমে রাসূল (সা)-এর খেদমতে এ ব্যাপারে আর্জি পেশ করেন এবং ওপর তলায় অবস্থান নিতে অনুরোধ জানান । জওয়াবে তিনি বলেন : আবূ আয়ূব! আমি আমার ও আমার সাক্ষাৎপ্রার্থীদের পক্ষে নীচের তলায় অবস্থান অধিকতর সুবিধাজনক হবে বলে মনে করি ।

আবূ আয়ূব আনসারী (রা)-র অবস্থা তেমন সচ্ছল ছিল না। কিন্তু আজ স্বয়ং তাঁরই গরীবালয়ে হুযূর আকরাম (সা)-এর অবস্থানে তাঁর খুশীর অন্ত ছিল না । এই বিরল ও দুর্লভ সম্মান ও সৌভাগ্যের (আল্লাহ তা'আলা যা তাঁকে দান করেছিলেন) ১ কৃতজ্ঞতা প্রকাশে তাঁর ভাষা ছিল অক্ষম। প্রেম ও ভালবাসাই খেদমতের আদব শেখায় (অর্থাৎ প্রেমাস্পদের খেদমত কিভাবে করতে হবে তার জন্য কোন নিয়মনীতি শেখার দরকার হয় না, প্রেমাবেগই এর জন্য যথেষ্ট)। আবূ আয়ূব আনসারী (রা) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সা)-এর রাত্রের খাবার তৈরি করে পাঠাতাম । খাবার শেষে ভোজ্য উচ্ছিষ্ট কিছু ফিরে আসলে আমি ও আমার স্ত্রী উম্মু আয়ূব তা রাসূল যেখানটায় মুখ লাগিয়ে খেয়েছেন সেখান থেকে খেয়ে নিতাম এবং বরকত হাসিল করতাম। রাসূল (সা) নীচতলায় থাকতেন আর আমরা থাকতাম ওপর তলায়। একবার পানি রাখার মশকটা ভেঙে যায়। ফলে আমি আর উম্মু আয়ূব আমাদের পরিধেয় একমাত্র চাদর দিয়ে গড়িয়ে পড়া পানি শুষে নিলাম যাতে তা কোনভাবে গলিয়ে নীচে অবস্থানরত আল্লাহ্র রাসূল (সা)-এর কষ্টের কারণ না হয় ।

মসজিদ ও বাসগৃহ নির্মাণের পর তিনি সেখানে স্থানান্তরিত হন ।

আযানের হুকুম: রাসূলুল্লাহ (সা) যখন মদীনার বুকে পরিপূর্ণ শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ করলেন এবং ইসলাম দৃঢ়তা ও সুসংহত রূপ লাভ করল তখন সালাতের জন্য মুসলমানদেরকে ডাকার সেই সব পন্থা যা ইয়াহুদী ও খৃস্টানদের ভেতর প্রচলিত ছিল সেগুলো, যেমন ঘন্টা বাজানো, শিংগায় ফুক দেয়া, আগুনের মশাল জ্বালানো প্রভৃতি অপছন্দ করলেন। তখন পর্যন্ত মুসলমানরা কোনরকম পূর্ব ঘোষণা ও ডাকাডাকি ছাড়াই সালাতের ওয়াক্তে আপনাআপনিই হাজির হয়ে যেতেন। এমনি মুহূর্তে আল্লাহ পাক আযান দ্বারা মুসলমানদেরকে ধন্য ও গৌরবান্বিত করেন এবং স্বপ্নের মাধ্যমে কোন কোন সাহাবীকে এর বাস্তব রূপ ও দৃশ্যও দেখানো হয়। অনন্তর তিনি এই আযানকেই নির্ধারিত করেন এবং শারঈভাবেই এর প্রচলন ঘটান । অতঃপর আযান দানের এই মহান খেদমত হযরত বেলাল ইবন রাবাহ হাবশী (রা)-কে সোপর্দ করা হয়। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা)-এর মুওয়াযযিন এই উপাধিত ভূষিত এবং কেয়ামত অবধি যত মুওয়াযযিন আসবেন তাঁদের ইমাম হওয়ার অনন্য গৌরব লাভ করেন ।

আযানের হুকুম: রাসূলুল্লাহ (সা) যখন মদীনার বুকে পরিপূর্ণ শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ করলেন এবং ইসলাম দৃঢ়তা ও সুসংহত রূপ লাভ করল তখন সালাতের জন্য মুসলমানদেরকে ডাকার সেই সব পন্থা যা ইয়াহুদী ও খৃস্টানদের ভেতর প্রচলিত ছিল সেগুলো, যেমন ঘন্টা বাজানো, শিংগায় ফুক দেয়া, আগুনের মশাল জ্বালানো প্রভৃতি অপছন্দ করলেন। তখন পর্যন্ত মুসলমানরা কোনরকম পূর্ব ঘোষণা ও ডাকাডাকি ছাড়াই সালাতের ওয়াক্তে আপনাআপনিই হাজির হয়ে যেতেন। এমনি মুহূর্তে আল্লাহ পাক আযান দ্বারা মুসলমানদেরকে ধন্য ও গৌরবান্বিত করেন এবং স্বপ্নের মাধ্যমে কোন কোন সাহাবীকে এর বাস্তব রূপ ও দৃশ্যও দেখানো হয়। অনন্তর তিনি এই আযানকেই নির্ধারিত করেন এবং শারঈভাবেই এর প্রচলন ঘটান । অতঃপর আযান দানের এই মহান খেদমত হযরত বেলাল ইবন রাবাহ হাবশী (রা)-কে সোপর্দ করা হয়। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা)-এর মুওয়াযযিন এই উপাধিত ভূষিত এবং কেয়ামত অবধি যত মুওয়াযযিন আসবেন তাঁদের ইমাম হওয়ার অনন্য গৌরব লাভ করেন ।

আযানের হুকুম: রাসূলুল্লাহ (সা) যখন মদীনার বুকে পরিপূর্ণ শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ করলেন এবং ইসলাম দৃঢ়তা ও সুসংহত রূপ লাভ করল তখন সালাতের জন্য মুসলমানদেরকে ডাকার সেই সব পন্থা যা ইয়াহুদী ও খৃস্টানদের ভেতর প্রচলিত ছিল সেগুলো, যেমন ঘন্টা বাজানো, শিংগায় ফুক দেয়া, আগুনের মশাল জ্বালানো প্রভৃতি অপছন্দ করলেন। তখন পর্যন্ত মুসলমানরা কোনরকম পূর্ব ঘোষণা ও ডাকাডাকি ছাড়াই সালাতের ওয়াক্তে আপনাআপনিই হাজির হয়ে যেতেন। এমনি মুহূর্তে আল্লাহ পাক আযান দ্বারা মুসলমানদেরকে ধন্য ও গৌরবান্বিত করেন এবং স্বপ্নের মাধ্যমে কোন কোন সাহাবীকে এর বাস্তব রূপ ও দৃশ্যও দেখানো হয়। অনন্তর তিনি এই আযানকেই নির্ধারিত করেন এবং শারঈভাবেই এর প্রচলন ঘটান । অতঃপর আযান দানের এই মহান খেদমত হযরত বেলাল ইবন রাবাহ হাবশী (রা)-কে সোপর্দ করা হয়। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা)-এর মুওয়াযযিন এই উপাধিত ভূষিত এবং কেয়ামত অবধি যত মুওয়াযযিন আসবেন তাঁদের ইমাম হওয়ার অনন্য গৌরব লাভ করেন ।

আওস ও খাযরাজ গোত্রের এবং ইয়াহূদীদের সঙ্গে সম্পর্কিত এসব মুনাফিকদের নেতৃত্বে ছিল আবদুল্লাহ ইবন উবাই ইবন সলুল। বু'আছ যুদ্ধের পর সকলে একমত হয়ে তাকে তাদের নেতা বলে স্বীকার করে নিয়েছিল। ইসলাম যখন এখানে প্রবেশ করে তখন তার রাজমুকুট পরিধানের প্রস্তুতি চলছিল। যখন সে দেখতে পেল যে, লোক বিপুল সংখ্যায় ও দ্রুততার সঙ্গে ইসলাম কবুল করছে তখন বিষয়টি কাঁটার মত তার দিলে খচখচ করে বিধতে থাকল । সে কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছিল না। ইবনে হিশামের বর্ণনা ঃ রাসূলুল্লাহ (সা) যে মুহূর্তে মদীনায় তশরীফ নেন সে সময় আবদুল্লাহ ইবন উবাই ইবন সলুল ছিল মদীনাবাসীর সর্দার । আওস ও খাযরাজ গোত্র ইসলাম আগমনের পূর্বে তাকে ব্যতিরেকে আর কারো নেতৃত্বের ব্যাপারেই একমত হতে পারছিল না। এই দুই গোত্রের আর কাউকেই তারা তাদের নেতা বানাতে রাজী ছিল না । তার সম্প্রদায় রাজমুকুট হিসেবে শিরে ধারণের জন্য (i) একটি মুকুটও বানিয়ে রেখেছিল যা সে তাদের সম্রাট হিসেবে পরিধান করবে। এরকম একটি অবস্থায় আল্লাহ তা'আলা তাঁর রাসূল (সা)-কে এখানে পাঠালেন। এরপর তার জাতি ও সম্প্রদায় তাকে পরিত্যাগপূর্বক যখন মুসলমান হয়ে গেল তখন তার দিলে কঠিন হিংসা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হল। সে অনুভব করল যে, রাসূলুল্লাহ (সা) তাকে তার সর্দারী ও সম্মান থেকে বঞ্চিত করলেন । কিন্তু যখন সে এও দেখতে পেল যে, তার জাতিগোষ্ঠী কোন অবস্থাতেই ইসলাম পরিত্যাগ করতে রাজী নয় তখন সেও নেহায়েত অনিচ্ছা সত্ত্বেই ইসলামে প্রবেশ করল বটে, কিন্তু মুনাফিকী, অন্তর্জালা ও হিংসা-বিদ্বেষকে আগাগোড়াই অন্তর মাঝে লুকিয়ে রাখল ।

২য় হিজরীর শা‘বান মাসে (ফেব্রুয়ারী ৬২৪ খৃ.)

নাখলা অভিযান শেষ হবার পর ২য় হিজরীর শা‘বান মাসে (ফেব্রুয়ারী ৬২৪ খৃ.) ক্বিবলা পরিবর্তনের আদেশ সূচক আয়াতটি (বাক্বারাহ ২/১৪৪) নাযিল হয়। যাতে ১৬/১৭ মাস পরে বায়তুল মুক্বাদ্দাস হ’তে কা‘বার দিকে মুখ ফিরিয়ে ছালাত আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়।[1] এই হুকুম নাযিলের মাধ্যমে কপট ইহূদীদের মুখোশ খুলে যায়। যারা মুসলমানদের কাতারে শামিল হয়েছিল স্রেফ ফাটল ধরানো ও বিশৃংখলা সৃষ্টির জন্য। এখন তারা তাদের নিজস্ব অবস্থানে ফিরে গেল এবং মুসলমানেরাও তাদের কপটতা ও খেয়ানত থেকে বেঁচে গেল। একই সময়ে রামাযানের ছিয়াম ও যাকাতুল ফিৎর ফরয করা হয়।[2]

আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই

একবছর চার মাস

দ্বিতীয় হিজরীতে

বুওয়াত

দ্বিতীয় হিজরীতে

মুসআব ইবনে উমায়র রা.

হাবশায় প্রথম হিজরতের নেতৃত্ব দিয়েছেন হযরত ওসমান রাঃ এবং তার সাথে ছিলেন তার স্ত্রী এবং রাসূল সাঃ এর কন্যা রুকাইয়্যা।

হাবশায় দ্বিতীয় হিজরতে ৮২ বা ৮৩ জন পুরুষ আর ১৮ বা ১৯ জন নারী সহ সর্বমোট ১০০ বা ১০২ জন সাহাবায়ে কেরাম হিজরত করেছিলেন।

আমর বিন আ'স রাঃ তখনও মুসলমান হন নি। জাফর ইবনে আবু তালিব সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন।

জাফর রাঃ সূরা মারইয়ামের প্রথম দিকের কয়েকটি আয়াত তেলাওয়াত শুনেছিলেন।

মুসলমানদের মধ্যে মদিনা সর্বপ্রথম হিজরত করেছিলেন আবু সালামা। আক্বাবার দ্বিতীয় বাইয়াতের প্রায় এক বছর পূর্বে তিনি হিজরত করেন।

আবু সালামার স্ত্রী উম্মে সালামা তার স্বামী ও সন্তানের জন্য আবতাহ নামক স্থানে বসে কাঁদতেন। তিনি প্রায় ১২ মাস এভাবে কেঁদেছেন।

৫০০ কিলোমিটারের থেকেও বেশি। সে পথ উম্মে সালামা পাড়ি দিয়ে মদিনায় হিজরত করেছিলেন।

তানঈম নামক স্থানে ওসমান বিন তালহা বিন আবী তালহার সাথে দেখা হয় এবং তিনি তাকে কুবা পর্যন্ত পৌঁছে দেন।

দারুন নাদওয়ায় যখন বৈঠক চলছিল তখন ইবলীস একজন বৃদ্ধের আকৃতিতে সেখানে উপস্থিত হয়। তার পরনে ছিল একটি মোটা কাপড়, সে এসে দারুন নাদওয়ার দরজায় দাঁড়ায় এবং নিজেকে নজদের অধিবাসী হলে পরিচয় দেয়।

আবু জেহেল হত্যার প্রস্তাব পেশ করেন এবং ইবলীস তার প্রস্তাবে সমর্থন জানান।

১১ জন।

রাসূল সাঃ ও আবু বকর রাঃ এই পর্বতের একটি গুহা অবস্থান করেন।

ত্রয়োদশতম বছরে

রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম শুক্র শনি রবি এই তিন রাত গারে সাওর গুহায় অবস্থান করেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ও আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু প্রত্যেকে জন্য একশত করে উট নির্ধারণ করা হয়েছিলো।

মদিনার রাস্তা দেখানোর জন্য আব্দুল্লাহ বিন উরাইকি লাইসীকে ভাড়া করে রাখা হয়েছিল।

আসমা বিনতে আবু বকর রাঃ যখন উটের সাথে মালপত্র বাঁধতে গেলেন তখন দেখলেন তাতে রশি নেই। তিনি তার কোমর বন্ধনী খুলে দুই টুকরো করে এক টুকরো দিয়ে সামান বেঁধে দিলেন আরেক টুকরো কোমরে জড়িয়ে রাখলেন।

গারে সাওর থেকে রাসূল সাঃ, আবু বকর রাঃ, আবু বকরের গোলাম আমের বিন ফুহাইরা ও পথপ্রদর্শক আব্দুল্লাহ্ বিন উরাইকিত সহ মোট চারজন হিজরত করেন।

একমাত্র সুরাকা বিন মালিক রাসূল সাঃ কে খুঁজে পেয়েছিলেন।

হিজরতের সময় বাতনে রি'ম নামক স্থানে যুবাইরের সাথে দেখা হয় এবং তিনি রাসূল সাঃ ও আবু বকর রাঃ কে দুটি সাদা কাপড় পরিয়ে দেন।

মদিনা বাসি প্রতিদিন সকালে মদিনা থেকে বেরিয়ে হাররা পর্যন্ত চলে এসে তার আগমনের অপেক্ষায় বসে থাকতেন।

ইয়াহুদিরা।

কুবায় রাসূল সাঃ কুলসুম বিন হাদমের গৃহে সোম, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি এ ৪ দিন অবস্থান করেন। কারো কারো মতে সাদ বিন খাইছামার গৃহে অবস্থান করেন।

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ)

সাদ ইবনে রাবী রাঃ আব্দুর রহমান রাঃ কে বলেছিলেন আমার দুজন স্ত্রী রয়েছে তাদের মধ্য থেকে যে তোমার কাছে অধিক সুন্দরী তাকে তুমি বিবাহ করতে পারো আমি তাকে তালাক দিয়ে দিব।